রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৩৩ অপরাহ্ন

ভয়ংকর তথ্য, কে এই ণারী ইরানের তথ্য পাচার কারি?

রিপোটারের নাম
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫
  • ৩৬৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

## কতটা বিপদজনক…. নারী গুপ্তচর!!
সাংঘাতিক মিশনারী নারী গুপ্তচর!

ইরানের হৃদয়ে পৌঁছে যাওয়া নারী গুপ্তচর… স্ত্রীদের জিভে স্বামীদের মৃত্যুর ফাঁদ!

ক্যাথরিন পেরেজ শকদাম—একজন ফরাসি তরুণী।
ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন, এবং নিজেকে শিয়াপন্থী বলে ঘোষণা করেছিলেন।
তিনি ইরানি বিপ্লবের প্রশংসা করেন, “বিলায়তে ফকিহ” এর সমর্থনে লেখালিখি করেন,
এমনকি তাঁর প্রবন্ধ ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেইয়ের ওয়েবসাইটেও প্রকাশিত হয়।

কিন্তু এই মুখোশের আড়ালে… ছিল মোসাদের নজরদারি।

ক্যাথরিন ছিলেন না কোনো সাধারণ গুপ্তচর।
তিনি ইরানে প্রবেশ করেছিলেন লেখিকা, সাংবাদিক ও চিন্তাবিদ হিসেবে।
রাজনীতিবিদদের ঘনিষ্ঠ হন, রেভল্যুশনারি গার্ডের সঙ্গে বসেন,
এমনকি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।
“গবেষণার অজুহাতে” তিনি সংবেদনশীল অনেক এলাকাও পরিদর্শন করেন।

কিন্তু সবচেয়ে বিপজ্জনক ছিল নারী মহলে তার প্রবেশ।

তিনি উচ্চপদস্থ সামরিক ও রাজনৈতিক নেতাদের স্ত্রীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
তাদের বিশ্বাস অর্জন করেন, যেন তিনিও তাদের একজন।
আর তারাই খোলামেলা বলতেন—স্বামীদের কাজ, থাকার স্থান, ভ্রমণের সময়সূচি, দৈনন্দিন জীবনযাপন সম্পর্কে।

প্রতিটি কথা রেকর্ড হতো,
প্রতিটি তথ্য পাঠানো হতো বাইরে।

এই তথ্যগুলোর ভিত্তিতেই নির্ধারণ করা হতো লক্ষ্যবস্তু,
তারপর একে একে সংঘটিত হতো হত্যাকাণ্ড…
নারীদের মুখে বলা নিষ্পাপ কথাগুলোই হয়ে উঠেছিল তাদের স্বামীদের মৃত্যুর কারণ।

যখন তার প্রতি সন্দেহ দেখা দেয়,
তিনি ইরান ছেড়ে চলে যান—ঠিক সময়ে, দরজা বন্ধ হওয়ার আগেই।
কিন্তু ততক্ষণে তিনি তার কাজ শেষ করে ফেলেছেন।
ইরানের ওপর ভয়ানক আঘাত হেনেছেন, যার রেশ এখনও রয়ে গেছে।

এই সংগ্রহ করা তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই
ইসরায়েল এখনো পরিচালনা করছে একের পর এক নিখুঁত অভিযান,
যার মূল উৎস—ক্যাথরিনের হাত ধরে ঘর থেকেই পাওয়া গোপন তথ্য।

এটা কেবল একটি গুপ্তচর কাহিনি নয়…
এটা একটি রাষ্ট্র-স্তরের নিরাপত্তা বিপর্যয়।

আজকের এই ছায়াযুদ্ধে—
গুলির আওয়াজ শোনা যায় না,
বরং হত্যা ঘটে—একটি নারীমহলের শান্ত আলাপচারিতায়।

সংগৃহিত

আপনি কি মনে করেন, ইরান এই ঘটনার অভিঘাত কাটিয়ে উঠতে পারবে?
আর আজ কি অন্য কোনো দেশের ভেতরেও নতুন কোনো “ক্যাথরিন” লুকিয়ে আছে?

আমাদেরও সতর্ক হওয়া দরকার।
©

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD