এস কে হোসাইন: বিশ্ব নন্দিত মুফাস্সির কুরআন, সাবেক সংসদ সদশ্য হযরত মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদি আজ রাত ৮,৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ব বিদ্যালয় হাসপাতালে (ডি- ব্লকে) হৃদরোগের চিকিৎসা চলাকালিন আবস্হায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
দীর্ঘ ১৩টি বছর যাবৎ কারাদন্ডে অবস্হানরত হয়ে অবশেষে আজ চীর বিদায় নিলেন তিনি।
২০১৮ সালে ১৭ ফেব্রুয়ারি মাসে মানবতা বিরোতি আইনের আওতায় আমির্তু কারাদন্ড প্রাপ্ত হন তিনি।
তার পর তাঁকে ( মাও:দেলোয়ার হোসেন সাইদিকে ) কাশেমপুর কনডেম সেলে রাখা হয়। যেখানে মৃর্তুদন্ড প্রাপ্ত আষামিদেরকে শেষ সময়ের পুর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করানো হয়।
যানাযায় গতকাল রবিবার মাও: দেলোয়ার হোসেন সাঈদি বুকের ব্যাথা অনুভব করলে তাকে পিজি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
মাও:সাঈদির শারিরিক অবস্হার অবনতি হলে সেখান থেকে তাঁকে বঙ্গ বন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে গেলে, চিকিৎসাধীন অবস্হায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন।
তাঁর জন্ম ২রা ফেব্রুয়ারি ১৯৪০ সালে। এবং ১৪ই আগষ্ট ২০২৩ সালে মৃর্তু বরন করেন।
তিনি পিরোজপুর ১ আসনে ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৬ সাল নাগাদ চার দলিয় ঐক্যজোটের পক্ষ থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ত পালন করেন।
এই রাজনীতিবিদ ও প্রক্ষ্যাত আলেমি দিন মাও:দেলোয়ার হোসাইন সাঈদিকে ২০১০ সালে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, এবং তারপরে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে অভিযুক্ত করে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধ তার অভিযুক্ত অপরাধের মধ্যে ছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে গোপন তথ্য দেওয়া, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ এবং লুট।
সেপ্টেম্বর ২০১৪ সালে, সুপ্রিম কোর্ট তার সাজাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে পরিণত করে।
(যদিও বেশ কিছু আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক এই রায়ের নিন্দা করেছেন এবং অভিযোগগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ভুল পরিচয়ের মামলা বলে পরামর্শ দিয়েছেন। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দ্বারা তার বিচারের সমালোচনাও করা হয়েছিলো।)
Leave a Reply